“রাজাপুর দরগাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়”
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলাধীন শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর মৌজার দরগাপাড়া গ্রামে অবস্থিত। গ্রামের নামের সাথে জড়িয়ে আছে চিরায়িত বাংলার এক ঐতিহাসিক দৃশ্যপট। এলাকাটি আধ্যাতিক সাধক লাখেরাজ সৈয়দ বাহারাম শাহ্ (রহঃ) স্মৃতিধন্য।
প্রাচীন বরেন্দ্র এবং গৌড় অঞ্চলে ইসলাম প্রচারকে কেন্দ্র করে শাহ শখদুম রুপোশ (রহঃ) তার বেশকিছু সঙ্গি নিয়ে রাজশাহীর দরগাপাড়ায় কেল্লা স্থাপন করেন। ঊনারই একজন সঙ্গি লাখেরাজ সৈয়দ বাহরাম শাহ্ (রহঃ)। যিনি বরেন্দ্র অঞ্চলে জিয়াসিন্ধু পরগনার এই অঞ্চলটিতে ধর্ম প্রচার কাজে নিয়োজিত হন।
জিয়াসিন্ধু পরগনার রাজাপুর অঞ্চলের হলেও এই অঞ্চলটিতে ঐতিহাসিক স্মৃতিহিসাবে চারঘাটি দিঘী ছাড়াও অনেক বড় বড় পুকুর, দরগাহপাড়ার দরগাহ এবং নদী বিদ্যমান। বিশেষ করে দরগাপাড়া গ্রামটি বন জঙ্গলে বেষ্টিত ছিল। আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে রাজশাহীর বাগমারা এলাকা থেকে কিছু মানুষ এসে পুনরায় অঞ্চলটিতে জনবসতি স্থাপন করেন।
ধর্মীয় এবং শিক্ষায় অগ্রসরমান জনগোষ্ঠী এসে এখানে বাসযোগ্য ও কৃষি জমির গোড়াপত্তন করেন এবং শিক্ষা প্রসারে ১৯০৫ সালে দরগাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
এলাকার মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী ও শিক্ষাবান্ধব হওয়ায় কৃষিপন্য উৎপাদনে যেমন এলাকাটি এগিয়ে তেমনি ভাবে শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে স্বাধীনতার অব্যহতি পরেই “রাজাপুর দরগাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়” ১৯৭৩ খ্রিঃ সালে প্রতিষ্ঠিত। এছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ অঞ্চলের শিক্ষানুরাগী মানুষেরা স্থাপন করেছেন।
- রাজাপুর দরগাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা।
- বটতলীহাট দারুল হাদিস দাখিল মাদ্রাসা।
- রাজাপুর বটতলীহাট মহাবিদ্যালয়।
- বটতলীহাট বিএম মহিলা কলেজ।
- সরকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়াও দরগাপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও সফুরা আজাদ শিশু সদন, দরগাপাড়া মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়ে এ অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষা দিক্ষায় অগ্রসর হওয়ার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
কবির ভাষায় এভাবে এ অঞ্চলকে চিহ্নিত করা যায়-
জীবনান্দের রুপসী বাংলা
নজরুলের বাংলাদেশ
বিশ্ব কবির সোনার বাংলা
রুপের যে তার নাইকো শেষ।
বাংলাদেশ